মাউন্ট এভারেস্ট ও জর্জ ম্যালোরি | George Malory and Mount Everest

 

মাউন্ট এভারেস্ট ও জর্জ ম্যালোরি | George Malory and Mount Everest

জর্জ ম্যালোরি ছিলেন বিখ্যাত পর্বতারোহী যিনি সম্ভবত এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছা প্রথম ব্যক্তি। ১৯২০ দশকের শুরুতে দিকে তিনি এভারেস্ট পর্বত আরোহণের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, আর অবশেষে ১৯২৪ সালে তৃতীয় প্রচেষ্টায় তিনি নিহত হন। সেই শেষ ও প্রাণঘাতী প্রচেষ্টার আগে তিনি বলেছিলেন, “আমি নিজেকে পরাজিত করে ফিরে যেতে পারি না।”

ম্যালোরি ছিলেন একজন অসাধারণ পর্বতারোহী এবং কোনও কিছুই তাকে হাল ছাড়াতে পারেনি। ১৯৯৯ সালে পাহাড়ের ২৭,০০০ ফুট উচ্চতায় তুষার ও বরফে ভালভাবে সংরক্ষিত তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার লাশ চূড়ার কাছাকাছি  একটি পাথুরে ঢালুর উপর মুখ তুবড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।

তার মাথার উপর তার হাত দুটি প্রসারিত ছিল। তার পায়ের আঙ্গুলগুলি ছিল পাহাড়ের দিকে ইঙ্গিত করা; তার হাতের আঙ্গুলগুলি আলগা পাথরের ভেতরে মধ্যে ডুকানো ছিল, যাতে প্রমান হয় যে এমনকি তার শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত তিনি হাল ছাড়েননি। তার কোমরের চারপাশে একটি স্বপ্ল দৈর্ঘ্যের ছেঁড়া সুতির দড়ি তার কোমরের চারপাশে পেচানো রয়েছে।

যারা পাহাড়ের আরও নীচে ম্যালোরির জন্য তাম্বু স্থাপন করেছিল তারা যখন ইংল্যান্ডে ফিরে এসেছিল তখন তাদের জন্য এক ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। খাবার টেবিলের পিছনে এভারেস্ট শৃঙ্গের এক বিশাল ছবি অবস্থান করছিল। কথিত আছে যে দলে ‍যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিরেন তিনি যখন অভ্যর্তনা গ্রহন করার জন্য দাড়িয়েছিলেন তখন এবং তার চেহারা বেয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়েছিল।

আর তখন তিনি ফিরে ছবিটির দিকে তাকালেন আর বলেন, “মাউন্ট এভারেস্টে, জীবিত ও অনাগত সব সাহসীদের নামে আমি তোমাকে বলছি  বলছি তুমি একবার আমাদের পরাজিত করেছ; তুমি আমাদের দেইবার পরাজিত করেছ; তুমি আমাদের তিনবার পরাজিত করেছ। কিন্তু মাউন্ট এভারেস্ট, আমরা একদিন তোমাকে পরাজিত করবই, কারণ তুমি আর বড় হতে পারবে না, কিন্তু আমরা আরও বড় হবো।”

 ১৯৫৩ সালে দুই পর্বতারোহী স্যার এডমন্ড হিলারি এবং শেরপা তেনজিগ নরগে এভারেস্টের চুড়াই পৌঁছান। তারা সত্যিই এভারেস্টকে পরাজয় করেছিলেন তাদের দৃঢ়তার কারণে।

𑁋𑁋𑁋𑁋𑁋𑁋𑁋

 আরও পড়ুনঃ ১০১টি বিখ্যাত ফিল্ম পর্যালোচনা১০১টি বিখ্যাত ফিল্ম পর্যালোচনা

 

The Searcher

Doing the right things by the right living with the right people in the right manner.

Post a Comment

Previous Post Next Post